কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে ছেঁড়াদ্বীপের সাথে বন্ধ হলো নৌ যোগাযোগ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণকারীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য প্রবাল, ঝিনুক, সামুদ্রিক নানা প্রজাতির মাছসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ছেঁড়াদ্বীপ। দ্বীপের নৌঘাট থেকে প্রতিদিন শত শত পর্যটকে গিজগিজ করে ছেঁড়াদ্বীপে। আর তাই প্রতিবেশ সংকটাপন্ন ছেঁড়াদ্বীপের সাথে অবশেষে নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার একরকম পর্যটকবিহীন ছিল সেই স্বপ্নের ছেঁড়াদ্বীপ।

দ্বীপের লোকজন জানান, ভ্রমণকারীদের বেশিরভাগই প্রবাল সমৃদ্ধ স্বচ্ছ নীলপানির ছেঁড়াদ্বীপে একবার হলেও পা ভেজাতে চান। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে শত শত পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে দ্বীপটিতে। পরিবেশবাদীদের মতে, প্রতিদিন ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের যত্রতত্র ছেঁড়াদ্বীপটি ব্যবহারের ফলে ইতিমধ্যে সেখানকার জীব-বৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে।

ময়লা-আবর্জনায় দূষণের শিকার হয়েছে সেখানকার পরিবেশ।

এমন ক্ষতিকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষার জন্য আরো অনেক আগে থেকেই ছেঁড়াদ্বীপকে পর্যটকের আনাগোনা থেকে নিয়ন্ত্রণ করার দাবি ছিল পরিবেশবাদীদের। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সেন্টমার্টিনে কর্মরত পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছেঁড়াদ্বীপের জীব-বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য পর্যটকের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীনসহ পরিবেশকর্মীরা গতকাল সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিঘাটে গিয়ে ছেঁড়াদ্বীপের নৌযান বন্ধ করার কথা জানানোর সাথে সাথেই নৌযানের মালিক ও কর্মচারিরা তাতে সম্মতি জানান। দ্বীপের নৌযান মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম গতকাল সন্ধ্যায় জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপটি বাঁচলেই আমরা দ্বীপের বাসিন্দারা বাঁচবো। সরকার দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে আমরা তাতে সহমত প্রকাশ করছি।

পাঠকের মতামত: